All the world’s a stage, And all the men and women merely players; They have their exits and their entrances; And one man in his time plays many parts.-BY WILLIAM SHAKESPEARE
Sunday, December 17, 2023
ডেক্সামেথাসন (dexamethasone) , ইউনানী ব্যথার ওষুধ ও অন্যান্য বাজে ওষুধ থেকে সাবধান
আজকাল নিয়মিত কিছু অপহোমিওপ্যাথি  ডাক্তার তাদের চেম্বারে ব্যথা নিয়ে কোন রুগী  আসলেই ডেক্সামেথাসন দিচ্ছেন, তা যেকোন ব্যথায় হোক (যদিও এটি ক্রনিক কেস ছাড়া ব্যবহার হয় না)। যা একজন রুগীকে চিররুগী বানাতে সহযোগীতা করছে। এর সাথে বিভিন্ন ইউনানী ব্যথার ওষুধ,তেল, সিরাপ দিচ্ছেন। সাধারণ মানুষ এগুলোকে হোমিও ওষুধ ভেবে দিনের পর দিন খেয়ে যাচ্ছে, যা সাধারণ অসুখ থেকে্  একটা বা একাধিক জটিল রোগের সৃষ্টি করছে।
হোমিও ডাক্তাররা্ এধরনের ওষুধ দিচ্ছেন কেন?(অ্যালোপ্যাথি ডাক্তারদের কথা বাদই দিলাম)
১. এসব ওষুধ কোন কোন ক্ষেত্রে তাড়াতাড়ি কাজ করে।( অবশ্য হোমিও ওষুধ লক্ষণ সাদৃশ্যে দিলে এর চাইতেও তাড়াতাড়ি কাজ করে।)
২. অল্প খরচে বেশি লাভ।
৩. হোমিওপ্যাথিতে রুগীর চিকিৎসা সময় সাপেক্ষ ব্যপার তাছাড়া বিদ্যার জোরও দরকার কিন্তু অধিকাংশ হোমিও চিকিৎসকের বিদ্যার জোর কম , তাই রুগীর নিকট নাম কমানোর জন্য এসব ওষুধ দিয়ে থাকে। একজন ভাল হোমিও চিকিৎসক কখনোই রুগীকে এসব এসব ওষুধ দিবেন না, কারণ তিনি এর ভয়াবহতা সম্পকে জানেন। যেমন- একজন রুগী এসব ওষুধ খেয়ে বলেন- জানিস ওমুক বড় ডাক্তারের কাছে ওষুধ খেয়ে কিছু হলো না এই হোমিও ডাক্তারের কাছে দুই দিন কিছু ব্যথার ট্যাবলেট খেয়ে এখন আমার ব্যথা সম্পুণ ভালো । আসলে তার ব্যথা ভালো হয়নি দমন রাখা হয়েছে, এই রুগী এসব ওষুধ দুই/তিন বছর খাবার পর আরো কিছু কিছু জটিল রোগসহ চেম্বারে ফিরে আসে। এসব রুগীর বোধগম্যতা আসার আগেই সেই অপহোমিওপ্যাথ  প্রচুর টাকা পয়সা ইনকাম করে বিশাল বড় নামধারী ডাক্তারে পরিণত হয়।
এসব ওষুধের ক্ষতিকর প্রভাবসমূহ:
১.  যেকোন অর্গান ড্যামেজ হতে পারে (কিডনী, লিভার, হার্ট ইত্যাদি)
২. শরীরে জল ধরে। শরীর ফুলে যায়।
৩. মাথার চুল পড়ে যেতে পারে।
৪. রক্তের সমস্যা হয়। বিভিন্ন স্কিন ডিজিজ দেখা দিচ্ছে।
৫. স্টমাক আলসার হয়।
৬. মাথা ঘোরানো, মাথা ব্যথা, ঝিমঝিম ভাব, শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, বমি বমি ভাব, ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে।
৭.  দীর্ঘদিন ব্যথানাশক ওষুধ সেবনের ফলে অনেকেরই কোষ্ঠ্যকাঠিন্য হতে পারে।
৮.  শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
৯. ব্যথানাশক ওষুধের প্রতি নির্ভরশীলতা, আসক্তি সৃষ্টি  হয়।
১০. হরমোনাল সমস্যা হয়।
১১. দীর্ঘদিন সেবনে ভিন্ন ধরনের ক্যান্সার হতে পারে ইত্যাদি।
ব্যথা হলে কি করবেন:
১. একজন পিউর হোমিওপ্যাথিকের কাছে চিকিৎসা করাতে পারেন।
২. নিয়মিত ব্যয়াম করতে হবে।
৩. মুল কারণ বা পরিবেশ থেকে বের হতে হবে।
৫. বাত, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, এমনকি হতাশা থেকেও ব্যথা হতে পারে, সেগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।
৬. সার্জারীর প্রয়োজন হলে করাতে হবে।
৭. ফিজিওথেরাপীর আশ্রয় গ্রহণ করা যেতে পারে।
৮. ভিটামিন ডি স্বল্পতা, পুষ্টিহীনতা, পানিস্বল্পতা, ইউরিক এসিড বেড়ে আছে কিনা খেয়াল রাথতে হবে। ইত্যাদি।
এসব ওষুধ চিনবেন কিভাবে:
 সাধারণত হোমিওপ্যাথিতে কোন,ফাইল ট্যাবলেট(বায়োকেমিক ছাড়া) নেই। যদিও ডেক্সামেথাসনের ছোট ট্যাবলেটটা দেখতে বায়োকেমিকের মত মনে হয়, এক্ষেত্রে ওষুধ ডায়রেক্ট মুখে দিয়ে দেখবেন যদি তিতা মনে হয় বুঝবেন এটিই ডেক্সামেথাসনের বা অন্য কোন ব্যথার ট্যাবলেট, বাযোকেমিকের ট্যাবলেট গুলো তিতা হয় না। 
বাস্তব অভিজ্ঞতায় দেখেছি, কিভাবে সিম্পল একটা রোগ এসব ওষুধ হরহামেশায় গ্রহনের কারণে জটিল আকার ধারণ করেছে। যেসব রুগী হয়ত এক ডোজ হোমিও ওষুধে ভাল হয়ে যেত তারাও জীবনভর ওষুধ গ্রহন করছে। তাই সবার নিকট করজোড়ে অনুধরণ দয়া করে নিজের সামান্য লাভের জন্য একটি রুগীর জীবন নস্ট না করি। নিজের আথিক লাভ না দেখে রুগীকে ভালবাসি, তারাও আমাদের ভালবাসবে, আসবে সফলতা ও পরকালীন মুক্তি।
ডা. শাহাদাত হোসাইন
ডি.এইচ.এম.এস
বিবিএ,এমবিএ(রাবি)
হোমিও মেডিসিন খেলে কি শরীর ফুলে/ শরীরে পানি ধরে?
- উত্তর অবশ্যই না। 
আজকাল প্রায় হোমি ডাক্তার হোমিওর সাথে বিভিন্ন স্টেরয়েড, ইউনানি, অ্যালোপ্যাথি এক সাথে দেওয়ার ফলে কিডনী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, যার ফলে শরীর ফুলে যাচ্ছে। এসব উল্টাপাল্টা ঔষধ ব্যবহারের কারণে সাময়িক কিছুটা উপকার হলেও বা একিউট কিছু লক্ষণ/ কষ্ট দূরভীত হলেও  দীর্ঘমেয়াদে জটিল অন্য লক্ষণ/ অসুখ শরীরে বাসা বাঁধে। যেমন কেউ হয়ত বাত ব্যথা নিয়ে এমবিবিএস ডাক্তারের নিকট গেল; ডাক্তার তাকে লক্ষণভেদে কম ক্ষতি সম্পন্ন  ব্যথার ঔষুধ দিল। একজন বিশেষজ্ঞ ভালো  ডাক্তার কখনোই একজন রুগীকে ব্যথা নাশক উচ্চ পাওয়ারের ঔষধ দীর্ঘদিন দেন না; কারণ তাঁরা এর ক্ষতি সম্পর্কে জানেন। অন্য দিকে একজন হোমিও নামধারী ডাক্তার একজন বাত ব্যথার রোগীকে একটি হোমিও ঔষুধ, একটি ইউনানী ঔষুধ ও একটি অ্যালোপ্যাথির ব্যথার ঔষধ ( বিশেষ করে ডেক্সামেথাসন ও অন্যান্য স্টেরয়েড ) দেয়। যার কারণে রুগী ফুলে যায়। এসব ডাক্তারের ঔষুধ খেয়ে রুগী সাময়িক উপশম বোধ করে এবং ডাক্তারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়। কিন্তু এসব ডাক্তারের ভন্ডামী রুগী ধরতে পারে কখন? যখন  রুগী ঔষুধ খেতে খেতে  ফুলে যায় বা ঔষুধ আর কাজ করে না খেতে খেতে ক্লান্ত হয়ে যায় কিন্তু অসুখ ভালো হয় না। আজকাল কিছু নোংরা হোমিওপ্যাথ রুগীকে বলে হোমিও ঔষুধে কিছুটা ফুলতে পারে যা একটি মিথ্যা ও বায়োনাট কথা, এসব কথা যে হোমিও ডাক্তার বলে সে অবশ্যই একজন ফ্রড বা মিথ্যুক ডাক্তার,  হোমিও সম্পর্কে তার নূন্যতম জ্ঞান নেই, বাজে ঔষুধ দিয়ে সাময়িক উপশম দেয়ার নামে নিজের পকেট ভর্তি করায় এদের কাজ, রুগীর কি ক্ষতিটা  হলো এনিয়ে তাদের মাথা ব্যথা নাই । বর্তমানে ৯৫% হোমিও ডাক্তার প্যাটেন্ট ব্যবসায়ী; না হয় আপনার এলাকায় দেখুন হঠাৎ করে একজন বিশাল বড় মাপের হোমিওপ্যাথি ডাক্তার যার না আছে কোন হোমিও ডিগ্রী না আছে এনাটমী ফিজিওলজির জ্ঞান অথচ সে ডাক্তার; ডাক্তারী কি এতই সহজ? এরা মানুষকে হোমিও দিবো বলে কি কি খাওয়াচ্ছে সেটা আমরাই জানি, আজকেই দেখলাম একজন নামধারী হোমিও ডাক্তার একজন রুগীকে একসাথে একটা হোমিও, একটা ইউনানী ব্যথার,  মালিশ তেল ও ডেক্সামেথাসন দিয়েছে, এসব ডাক্তারের যোগ্য শাস্তি একমাত্র পরকালেই সম্ভব। ক্ল্যাসিক্যাল হোমিওপ্যাথিতে কোন দিন সিঙ্গেল একটা রুগীকে ফুলতে দেখি নি। বাজে ঔষধের ক্ষতি নিয়ে আরেকদিন লিখবো ইনশাআল্লাহ। আজকাল কিছু এলোপ্যাথি ডাক্তার রুগীকে বলেন হোমিও ঔষুধ কখনো খাবেন না, এটি রুগীকে ফুলিয়ে দেয় আরো অন্য ক্ষতি করে ইত্যাদি ইত্যাদি। আসলে তাদের কথা একেবারে ফেলে দেবার নয়, কারণ বাজে হোমিওপ্যাথে বাজার সয়লাব, তাদের কারণে রুগীর বারোটা বেজে যাচ্ছে। অ্যালোপ্যাথি ডাক্তারদের জ্ঞাতার্থে বলতে চাই--এসব নোংরা হোমিওপ্যাথ দিয়ে হোমিওকে মাপবেন না; হোমিও প্যাথিকে মাপুন একজন ক্ল্যাসিক্যাল হোমিও প্যাথ দ্বারা যারা সিঙ্গেল মেডিসিন ব্যবহার করে,  কোন প্রকার প্যাটেন্ট,সিরাপ ব্যবহার করেন না। হোমিওপ্যাথিতে কোন প্যাটেন্ট, সিরাপ, ভিটামিন নেই। রুগীদের জ্ঞাতার্থে বলতে চাই - যে সব হোমিও ডাক্তার একসাথে প্যাটেন্ট, সিরাপ, অ্যালোপ্যাথি ও ইউনানী ব্যবহার করে তাদের পরিত্যাগ করুন; দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বুঝুন; ক্ষতি হয়ে যাবার পর বুঝে লাভ নেই সতর্ক আগেই হন। এসব নোংরা হোমিওপ্যাথদের থেকে ঔষুধ খেয়ে এখন প্রায় প্রতিদিন ৪/৫ জন শরীর ফোলা রুগী চেম্বারে আসছে,  তাদের দেখলেই কষ্ট হয়;এমবিবিএস ডাক্তারেরা যেসব ঔষধ ৭ দিন বা ১৪ দিন দেয়;   এসব নোংরা হোমিওপ্যাথি ডাক্তারেরা ১ বছর ২ বছর কন্টিনিউ খাওয়াচ্ছে, ক্ষতির পরিমাণ চিন্তা করুন! রুগী হয়ত দু এক ডোজেই ভালো হয়ে যেত কিন্তু এসব ঔষুধের কারণে সারাজীবনের রুগী হয়ে যাচ্ছে; এসব অহরহ দেখছি। আমেরিকান ন্যাশনাল লাইব্রেরী ও মেডিসিন এর সাইন্টিফিক লিটারেচারে প্রকাশিত আর্টিকেল অনুযায়ী ৬৯ % মেডিসিনের ১০ থেকে ১০০ ধরনের ক্ষতিকর সাইড ইফেক্ট রয়েছে, ২২% মেডিসিনের ১০০ ধরনের  উপরে ক্ষতিকর সাইড  ইফেক্ট রয়েছে,  শুধুমাত্র ৯ % মেডিসিনের ১০ ধরনের নিচে ক্ষতিকর সাইড ইফেক্ট রয়েছে।এসব ক্ষতির কারণে- না পারবেন বেঁচে থাকতে না পারবেন মরতে! চির রুগী হয়ে গেলে পৃথিবীর সব সূত্রই মিথ্যা প্রমাণিত হবে, কোথাও কোন আনন্দ নেই!! আল্লাহ সহায় হউন।
Subscribe to:
Comments (Atom)
Homeopathic medicine Carbo Veg
Carbo vegetabilis (Carbo veg) is a homeopathic remedy made from vegetable charcoal, particularly derived from the carbonized remains of pl...
- 
We often discuss different types of development in the country. I believe it's misguided to focus solely on this type of development. W...
- 
There are several homeopathic remedies commonly used for gastric issues like indigestion, bloating, and acidity. Here are some of the most f...
- 
আজকাল নিয়মিত কিছু অপহোমিওপ্যাথি ডাক্তার তাদের চেম্বারে ব্যথা নিয়ে কোন রুগী আসলেই ডেক্সামেথাসন দিচ্ছেন, তা যেকোন ব্যথায় হোক (যদিও এটি ক্রনি...

 

 
